কক্সবাজারের উখিয়ায় পৈতৃক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। যার মামলা নম্বর ২৫৩/২০২২।
সরেজমিনে জানা গেছে, নিজের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে অরণ্য বড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে আপন ভাসুরের দুই ছেলে ও এক নাতির বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে রাজাপালং ইউনিয়নের খালকাচাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুমেধু বড়ুয়ার স্ত্রী রক্ষিতা বড়ুয়া।
স্থানীয়রা বলছে, এটি একটি সাজানো ঘটনা। তাদের পৈতৃক ওয়ারিশী জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে রক্ষিতা বড়ুয়া।
জানা গেছে আসামীদের মধ্যে বিপন বড়ুয়া পেশায় একজন আইনজীবি সহকারী। সে পেশাগত কারণে কক্সবাজারে অবস্থান করেন। অপরদিকে তার বড় ভাই স্বপন বড়ুয়া একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থায় নৈশ প্রহরীর চাকুরী করে। তার ছেলে সজীব বড়ুয়া স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজাপালং খালকাচা বড়ুয়া সড়কের লাগোয়া জমির উপর নতুন বসত বাড়িতে অভিযুক্ত সুরিত বড়ুয়ার দুই ছেলে বিপন বড়ুয়া (৩২) ও স্বপন বড়ুয়া এবং স্বপন বড়ুয়ার ছেলে সজিব বড়ুয়া বাদীনির ষোড়শী মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করে ও তার বসত বাড়িতে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী রক্ষিতা বড়ুয়া বলেন, আমাদেরকে অকেজো জমিগুলো দিয়ে ভালো এবং দামী জায়গাগুলো তারা ভোগ করছে। ওরা আমাদের কোন আত্নীয় নই। আমরা আমাদের দখলীয় জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করেছি। ঘটনার দিন রাস্তার পাশে নতুন ঘরে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হামলা করে বিবাদীগণ।
আপন চাচাত ভাই এবং ভাতিজা কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি সত্য কিনা জানতে চাইলে কৌশলে এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায় রক্ষিতা বড়ুয়া এবং কথা বলতে দেয়নি মামলার ভিকটিম অরণ্য বড়ুয়ার সাথে।
তবে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উক্ত ঘরের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এ দিকে স্থানীয়রা বলছে, ঘটনাটি অধিকতর তদন্তপূর্বক নিরপরাধ মানুষগুলোকে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেন।
পাঠকের মতামত